Friday, August 20, 2010

নতুন কবিতা

জলাশয়
মাছের তারুণ্য বুঝে নাকি কেউ?
অনামি টিকিটে দেয় সাঁতার, জলায়

কাঁপছি, তীরে একাকী দাঁড়িয়ে
হন্তারক! অপরাধি! অগ্নিবিদ্ধ ড্রাগনের বেশে
আনাড়ি বাদক হলে বোঝাতাম সকল অনাদি
লণ্ডভণ্ড জলের উচ্ছ্বাস...
মাছের তারুণ্য বিনা কোথাও ফুটে না!

নিজেকে দ্যাখার পর যেমন থাকে না
নবীন কবিতা। গীতির আলেখ্য।
বিভ্রম, মৌসুমী সময়ের-
তুমি ফিরে তাকাও না সেদিক।

আসুক বসন্ত আজ না থাক কোকিল
ফল-ফুল লাল শিমুলের প্রতিবেশে হরষিত
তুমিই কোকিল হয়ে বসে যেয়ো
বীরদর্প, গাছেদের ডালে।

সোজা
ছেলেটার ফুল বলে কথা
বাজারে কিনতে যাই
ছেলের পছন্দ নাই।

ছেলেটার দুই ভুল
বাজার আর ফুল
ফুলে রাঙা দারুণ বিভূতি।

সন্ধ্যার সবুজ আলো
মোমবাতি, ঘাস
পথিকের পায়ে পায়ে দিগন্তের নীল।

রঙিন দ্বীপপুঞ্জের শতদল
ঝর্ণার কলকল আর
পর্তুগিজ তামাটের দীর্ঘশ্বাস...

কিছুই অজানা নয়
পৃথিবীটা বোকা
ছেলেটা জেনেছে তার মানে
ঘটনাটা সোজা

বিকেল রঙিন ফুল
আস্তাবলে সব
কুড়িয়ে পাওয়া গান।

অসতর্ক
নদী ছিলো কিংবা ধরো ছিলো না কখনো
অন্ধ চোখ তার, দৃষ্টিকালা- দেখে এক রাশিমালা
অসতর্ক আয়নায়
ঠুনক্ বলেই ভেঙে যায় মূলভাব।

এখন দেখতে পাই-
তুই যা পারিস, সহজেই দূরে গিয়ে
পারলে দেখিস কেটে আনারস! আছে তার দুর্দান্ত সবুজ।

ছোট হোক, ধরবে না ভোগের রশ্মিতে
সমুদ্রের খুব নিচে গোপন সিন্দুকে
তুই তার কিছুই বুঝবি না।

ভয় শুধু, ডাকু এলে নিয়ে নেবে তোর থেকে নদীর বিভ্রম
ঢেউ থেকে জেগে থাকা তীরের বেদনা।

১৬ আগস্ট ২০১০, সোমবার
দুর্বার গোষ্ঠি ভবন, মোক্তারপাড়া, নেত্রকোণা।