Tuesday, December 22, 2009

ভূমিকা কবিতা
এই লেখা ওইসব শিশুদের জন্যে
জ্ঞানী ছিলো যারা জ্ঞানী আছে যারা, শোনো
শুধু তোমাদেরই বলে যাই দেখো, আহা!
কতো সৎ আর ধ্যানী ছিলে সে সময়।
এইসব বলে যাবো তোমাদের কাছে
দেখে নিও, জেনে রেখো, যতটা ছিলাম
ততটাই পাপ করে করে আর তাই
আমি বোকা থেকে থেকে জেনে গেছি আজ
পৃথিবীতে আরো জ্ঞানী-ধ্যানী হলো এরা...
পাহাড়, বাতাস, বৃক্ষ, পাখি, জল, মাটি...
এর থেকে কিছু দিয়ে যাবো তোমাদের।
হে আদিম, হে উলঙ্গ সময়ের শিশু
তোমাদের জন্যে লিখে যাই বারবার
আর শিখি তোমাদের সব অভিধান...

সাঁঝ শরীরে ঢাকা
আকাশ ছিলো মেঘ সংকুল সাঁঝ শরীরে ঢাকা
তোমার বাড়ি... কিনার ঘেষে রাতের ছবি আঁকা
রাত কুড়াই চোখের জলে রাত কুড়াই বলে
বাড়ির সব কাকপক্ষী আমায় আমায় পাঠালে
কাকপাখি কী আমার থাকে, কাকপাখি তোমারি
রেখে তো গেলো বাতাসে দেয়া উড়ো খবরদারি
মেঘশরীরে শীতল ছিলো, শীতল ছিলো পানি
তোমার বাড়ি খুঁজতে গিয়ে আমার গলে ফাঁস
গলায় পড়ি ফাঁসের দড়ি চোখের জলে ভরি
ফাঁসের বেলাও একটুখানি তোমায় মনে করি

মাঝিয়ালি
নৌকা ভাসিয়েছি আজ সুদূরের পথে
ভেসে আসা তালপত্রে সুদূরের কথা।
আজ বহুকাল হলো বানে ভেসে গেছে
গেরস্থের ঘরে থাকা ফসলিয়া দিন
নদীর ভাঙনে আজ পাঁজরের শব
ঘর পোড়ে সুখে আছি জলনারী নিয়ে।
ডোঙাতে বেঁধেছি ঘর, আমি মাঝি আজ...
ছোট দ্বীপে ডেরা করি আকাশ ছায়ায়।
আজও জানি না-তো জল কোন সুদূরের
ঘুরে ঘুরে আসে ফিরে সে, আমারই ঘাটে।
কোন সীমান্তে ও জল ঠিকানা তোমার...

No comments:

Post a Comment